নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতে স্থানীয় ও পর্যটকের ঢল নেমেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পরে মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা সমুদ্রসৈকত হতে পারে জেলার আরেকটি নতুন পর্যটন জোন। এমনটি মনে করেন এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধি।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাতারবাড়ী সাগর পয়েন্ট হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত ছিল
মূলত ঈদের ছুটিতে গ্রামে ঈদ উদযাপন করতে আসা লোকজন মাতারবাড়ি সমুদ্র সৈকত এলাকা দর্শনে যান। উপজেলায় কোনো পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় ভ্রমণের জন্যে মাতারবাড়ি সৈকতপাড় বেছে নিয়েছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। এছাড়া অনেকে কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দেখতে মাতারবাড়িতে সমাগত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে মাতারবাড়ি সমুদ্র এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সৈকতের ঝাউবাগান ও বালুচরে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় পর্যটক অবস্থান করছেন। সৈকতে আঁচড়ে পড়া ঢেউয়ের পানিতে ভিজে উল্লাসে মেতেছেন তারা। সৈকতের দীর্ঘ এলাকা ঘুরে দেখছেন অনেকে। কেউ কেউ সৈকতের ঝাউবাগানে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
সৈকত এলাকা দর্শনে আসা স্থানীয় বাসিন্দা এসএম রানা বলেন, মাতারবাড়ি সমুদ্র এলাকা দেখতে হুবহু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতোই। উপজেলায় অন্যকোনো বিনোদনের কেন্দ্র নেই। মাতারবাড়ি সমুদ্র সৈকত এলাকা নিয়ে যদি সঠিক পরিকল্পনায় কাজ করা হয়, তাহলে এটি হবে জেলার নতুন আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র।
মাতারবাড়ি সৈকত এলাকা দেখতে আসা কালারমারছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদে অফিস থেকে ছুটি পাওয়ায় বাড়িতে ঈদ করতে এসেছিলাম। এখানে অন্য কোনো বিনোদনের স্পট না থাকায় মাতারবাড়ি সৈকতে ঘুরতে আসা। এখানে অনেকটা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতোই দেখতে। শুধু অনুপস্থিত রয়েছে কিটকট চেয়ার, বিচ বাইক, ওয়াটার বাইক ও ঘোড়া। এসব আনা হলে কক্সবাজার ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মতোই দেখতে হবে এ মাতারবাড়ি সমুদ্র এলাকা।
ভ্রমণ পিপাসু গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিতে মাতারবাড়ী সৈকতে ঘুরতে এসেছি। সকাল থেকে পুরো সৈকত এলাকায় হাজারো মানুষের সমাগম ছিল।
মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আবু হায়দার বলেন, অদূর ভবিষ্যতে মাতারবাড়ি-ধলঘাটার বিস্তৃর্ণ সমুদ্র সৈকত হতে পারে জেলার আরেকটি নতুন পর্যটনকেন্দ্র। এতে করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উপর পর্যটকদের অনেকটা চাপ কমতে পারে। ভবিষ্যতে মাতারবাড়ির এই সমুদ্রসৈকত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এর জন্যে শুরু প্রয়োজন যোগাযোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও ব্যাপক প্রচারণা।
Posted ০৮:১৫ | শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain